ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ী সুইচ গেইট বন্ধ থাকায় ৫শতাদিক বাড়ী-ঘর পানির নীচে, যাতায়ত করছে নৌকা যোগে

সালাম কাকলী, মহেশখালী :::  মাতরবাড়ীর সমস্ত সুইচ গেইট বন্ধ করে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ জাইক্যা চার দিকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় মাতারবাড়ীর প্রায় ৫ শতাদিক বসত বাড়ী পানিতে ডুবে রয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়–য়া কোমলমতী শিক্ষার্থীরা একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতাযত করছে কেয়া নৌকা যোগে। কেয়া নৌকা যোগে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে বহু নৌকা ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও কলমসহ বিভিন্ন কাগজ পত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আইডিয়াল স্কুলের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি কেয়া নৌকার ঘাট। এ ঘাটে নিয়োজিত ৫টি কেয়া নৌকা লোকজন নিয়মিত আনা-নেয়া করছে বিলপাড়া, ফুলজান মোরা ও কোণা পাড়াসহ কয়েটি পাড়ার শিক্ষার্থীসহ এখানকার নারী-পুরুষদের কে এছাড়া বাড়ী-ঘরে মজুত থাকা পণ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাতারবাড়ীর এ অবস্থা দেখলে মনে হয় এখানকার লোক জনের উপর এটা কিসের ষ্টিমরোলার?

মাতারবাড়ীর দক্ষিণ দিক থেকে ১৪ শত একর ও উত্তর দিক থেকে ১২ শত একর জমি অধিগ্রহণ করার পাশাপাশি উপ শাখা সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে দক্ষিণ রাজঘাট বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিতিত মধ্যম রাজঘাট মসজিদের পূর্ব হয়ে উত্তর দিকে সোজা গিয়ে কোহেলিয়া কয়লা বিদ্যুৎতের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে আরোও বেশ পরিমাণ জমি। এখানকার লোকজনের আয়ের একমাত্র উৎস চিংড়ী ও লবণ। এতাদঞ্চল থেকে প্রায় ২৬শত একর চিংড়ী ও লবণ জমি অধিগ্রহণ করার পর এখানকার লোক জনের আয়ের উৎস এখন আর নেই। ফলে এখানকার লোকজন রিজিকের সংধানে চট্টগ্রামে জাহাজকাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দলে দলে চলে যাচ্ছে। জাইক্যা কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ীর সমস্ত সুইচ গেইট বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানি ও বাড়ি ঘরের ব্যবহারিত পানি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়ত করতে না পারায় একটু বৃষ্টি হলে পুরো মাতারবাড়ী পানিতে ডুবে যায়।

এ ভাবে গত ৩ বছর ধরে মাতারবাড়ীর লোকজনের পোহাতে হচ্ছে অবনিয় দূর্ভোগ। চলতি বর্ষার মৌসুমে শুরু থেকে এ ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাদিক বসত বাড়ী পানিতে সম্পূর্ণ রূপে ডুবে থাকায় এখানকার শিক্ষার্থী ও নারী-পুরুষরা কেঁয়া নৌকা যোগে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়ত করছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন ভোটের নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য সুইচ গেইট শিঘ্রই নির্মাণ করা হবে। আপাতত কালভার্ট বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান কে আদেশ দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিপূর্ণ বর্ষা হওয়ায় কালভার্ট বসাতে একটু সমস্যা রয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান ও কৃতি ফুটবলার মুজিবুল রহমান জনান, এখানকার মানুষ রিলিফ চায় না। চায় কর্ম সংস্থান। অপরদিকে জেলা কৃতি ফুটবলার নবির হোছাইন ভোট্টু জনান, সুইচ গেইট খেলো দেয়া হউক। এটা আমাদের একমাত্র দাবী।

পাঠকের মতামত: